
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের টেকনাফে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দাবি করেছেন, তিনি ইয়াবা পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চলছে। ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে প্রায় প্রতি রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন মাদকের কারবারিরা যখন নিহত হচ্ছেন, তখন বদির প্রসঙ্গটি বারবার সামনে এসেছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর দিয়ে নানা সময় গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে ইয়াবা কারবারের অন্যতম হোতা টেকনাফের এই সংসদ সদস্য। তবে বদি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আসা এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে ষড়য্ন্ত্র দাবি করে এসেছেন।
মাদকবিরোধী অভিযানে প্রাণহানির ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও একাধিকবার বদির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। দুই জনই বলেছেন, প্রমাণ পেলে বদিকেও ছাড়া হবে না। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তার পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।
এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টেকনাফের আলোচিত এই সংসদ সদস্য, যেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।
আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস টেকনাফে ছিল না। কক্সবাজারে ছিল আর রামুতে ছিল। রামু থেকে কিছু লোক গিয়া সেখানে মাদক দ্রব্যের অফিসার… সেখানে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করত। আর আমি তাকে প্রতিরোধ করতাম। যার কারণে আমার বদনামটা সেখানে হইসে।’
‘এই প্রতিরোধ করার কারণে তারা গোপনে আমার নামটা সেখানে সম্পৃক্ত করে দিয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নে বদি বলেন, ‘কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে, কিছু সাংবাদিক আছে আর কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছে। যাদের মধ্যে একটা সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট এগেইনস্টে (বিরুদ্ধে) আমি সবসময় কথা বলতেই থাকি।’
‘আমার জনপ্রিয়তা যেন চলে যায় সেজন্য একটা ষড়যন্ত্র করেছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে। নাহলে কেনো যেখানিই যায় সেখানেই একটা লেজ লাগায় দেয় এমপি বদি?’
বদির বিরুদ্ধে তথ্য থাকলে তা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে টেকনাফের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি, সাংবাদিক ও মিডিয়াদেরকে বলেছি যে, তোমাদের কাছে যদি কোন তথ্য থাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তোমরা জমা দেও।’
মাদকবিরোধ অভিযানে শতাধিক মানুষের গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি কোন দৃষ্টিতে দেখছেন- জানতে চাইলে বদি বলেন, ‘প্রত্যেক ইয়াবা ব্যবসায়ীর হাতে কিন্তু বন্দুক এখন। কারণ মাল ওঠানামা করার সময় তারা বন্দুক ব্যবহার করে। প্রশাসনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য।’
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ওমরাহ করতে সৌদি আরব যাওয়ার বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেটাকেও অবান্তর বলেন বদি। বলেন, ‘আমি যাচ্ছি কোথায় আর বলতেছে কি? মিডিয়া এগুলা বলতেই থাকে। কারণ এগুলা না বলতে তো তাদের পেপার বিক্রি হবে না।’
পাঠকের মতামত